ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে বিস্তারিত
আজ আমরা ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে বিস্তারিত জানার চেস্টা করবো । আমাদের আজকের লিখা হতে আপনারা ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কে কয় ভাগে এবং কত কত ভোল্টে ভাগ করা হয়েছে সেগুলো জানতে পারবেন । যারা ইলেক্ট্রিক্যাল জবের সাথে জড়িত তাদের জন্য আজকের লিখাটা খুবি গুরুত্বপূর্ণ । আর জারা ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সম্পর্কে জানতে আগরহী তারাও পরে ফেলতে পারেন আমাদের এই লিখাটি ।
ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন মানে কি?
একেবারে বেসিক থেকে শুরু করতে হলে আমাদের আগে জানতে হবে ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কি জিনিস অর্থাৎ এর সাধারন সংজ্ঞা । চলুন তাহলে শুরু করে দেই ।
প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র থেকে আবাসিক ভবন পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌছানোর নিমিত্তে পরিবাহী তারের এক বিশাল নেটওয়ার্ক ব্যবহূত করা হয়ে থাকে । মূলত ট্রান্সমিশন ও ডিস্টিবিউশন এই বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কের প্রধান দুটি অংশ থাকে ।
গ্রিড নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে এখানে ক্লিক করুন
মুল উৎপাদন কেন্দ্র হতে লোড সেন্টারস্থ উপকেন্দ্র সমূহে বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করা হয় আর গ্রাহক প্রান্তে বিদ্যুৎ বিতরনের জন্য ডিস্টিবিউশন লাইন ব্যবহার করা হয় ।
আবার ওভারহেড অথবা আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যবস্থায় এসি বা ডিসি যে কোন পদ্ধতিতে বৈদ্যুতিক পাওয়ার ট্রান্সমিশন ও ডিস্টিবিউশন করা যায় ।
আমাদের দেশ সহ বর্তমানে এসি জেনারেশন ও ট্রান্সমিশনের জন্য ৩-Q, ৩ তার এবং ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য ৩-Q ,৪ তার পদ্ধতি একটি সার্বজনীন সিস্টেম বা প্রথায় পরিণত হয়েছ অনেক আগে থেকেই ।
এই ক্ষেত্রে ওভারহেড সিস্টেমের তুলনায় আন্ডারগ্রাউন্ড সিস্টেম অধিক ব্যয় বহূল হয়ে থাকে । তাই নদী-মাতৃক বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র ওভারহেড ট্রান্সমিশন ও ডিস্টিবিউশন সিস্টেম প্রচলিত হয়ে আসছে । যা হোক, ইৎপাদন কেন্দ্র থেকে গ্রাহক প্রান্ত পর্যন্ত সমগ্র বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক অথাৎ ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম পূনরায় প্রাইমারী ও সেকেন্ডারি এই উভয় অংশে বিভক্ত থাকে ।
গ্রিড নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে এখানে ক্লিক করুন
ট্রানাসমিশন লাইনঃ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রেরন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন সাব স্টেশন পর্যন্ত উচ্চ পাওয়ার পরিবহনের জন্য যে বিশাল বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক ব্যবহূত হয়, সেটিকে বলা হয় ট্রান্সমিশন লাইন । এখানে অধিক পাওয়ার পরিবহনের জন্য ট্রান্সমিশন লাইন সিঙ্গেল-সার্কিট বা ডাবল-সার্কিট হতে পারে ।
আবার অপারেটিং ভোল্টেজের ভিত্তিতে ট্রান্সমিশন লাইন দু’ভাগে বিভক্তঃ
ক. প্রাইমারি ট্রানাসমিশনঃ ২৩০ কেভি, ১৩২ কেভি ।
খ. সেকেন্ডারি ট্রানাসমিশনঃ ৬৬ কেভি, ৩৩ কেভি ।
ডিস্ট্রিবিউশন লাইনঃ সাব স্টেশন থেকে গ্রাহক প্রান্তে অথাৎ আবাসিক এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরনের জন্য যে বৈদূতিক নেটওয়ার্ক ব্যবহূত হয় সেটিকে ডিস্ট্রিবিশন লাইন বলা হয় ।
অপারেটিং ভোল্টেজের ভিত্তিতে ডিস্ট্রিবিউশন দু’ধরনের হয়ঃ
ক. প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশনঃ ১১ কেভি, ৬.৬ কেভি, ৩.৩ কেভি ।
খ. সেকেন্ডারি ডিস্ট্রিবিউশনঃ ৪৪০ ভোল্ট, ২৩০ ভোল্ট ।
গ্রিড নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে এখানে ক্লিক করুন
ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে আমাদের লিখা আজ এখানেই শেষ হল । আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আরো কোন বিষয় নিয়ে জানতে আগ্রহী অথবা কোন প্রশ্নো থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন । EEEcareer চেস্টা করবে আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ।
nice info
excellent points altogether, you just received a new reader. What would you suggest in regards to your submit that you just made some days ago? Any certain?