ডায়াক এবং ট্রায়াক নিয়ে বিস্তারিত | Diac and Triac in Bangla
ডায়াক এবং ট্রায়াক নিয়ে আমরা বিস্তারিত জানবো আজ । ডায়াক এবং ট্রায়াকের চিত্রসহ সেম্বল এবং এর ব্যবহার সম্পরকে জানতে পারবো আজ । প্রথমেই আজকের জানার বিষয়গুলো নিচের পয়েন্টগুলো থেকে জেনে নেই চলুন ।
ডায়াক এবং ট্রায়াক নিয়ে আজকের বিষয়গুলো
১। ডায়াক কাকে বলে ?
২। ডায়াকের চিত্র এবং সিম্বল ।
৩। ডায়াকের ব্যবহার ।
৪। ট্রায়াক কাকে বলে ।
৫। ট্রায়াকের চিত্র এবং সিম্বল ।
৬। ট্রায়াকের ব্যবহার ।
ডায়াক কাকে বলে ?
(Diac) ডায়াক দুই টার্মিনাল বিশিষ্ট এক ধরনের ট্রিগারিং ডিভাইস যেটা নির্দিষ্ট একটা ব্রেকডাউন ভোল্টেজে পৌঁছানোর পরে কন্ডাক্ট হয়ে যায় । এটি অনেকটা জিনার ডায়োডের মত কাজ করে । এদের মাঝে পার্থক্য হচ্ছে ডায়াক এসি এবং ডিসি দুই সাপ্লায়েই কাজ করতে পারে কিন্তু জিনার ডায়োড শুধুমাত্র ডিসি সাপ্লায়ে কাজ করে ।
এখানে ডায়াক তার দুটো টার্মিনাল দ্বারা নিজেদের মাঝে ডিরেকশনের পরিবর্তন করে দুই সাইকেল অর্থাৎ পজেটিভ এবং নেগেটিভ হাফ সাইকেলে ক্যাথোড অথবা এনোড হিসেবে কাজ করে ট্রিগার করার ক্ষমতা রাখে । আমরা আগেই জেনেছি ডায়াক অনেকটা জিনার ডায়োডের মত তাই জিনার ডায়োডের যেমন ব্রেকডাউন ভোল্টেজ আছে যেমন- ১২V, ৯.৬V, ৫.৬ V, ৩.৬ V তেমনি ডায়াকের ব্রেকডাউন ভোল্টেজ থাকে । ডায়াক যেহেতু এসিতেও কাজ করে তাই এর ব্রেকডাউন ভোল্টেজ জিনার ডায়োডের তুলনায় অনেক বেশি হয় । সাধারণত এর ব্রেকডাউন ভোল্টেজ ৩০V এর উপরে হয়ে থাকে ।
ডায়াকের চিত্র এবং সিম্বল
আমাদের দেশে ব্যবহার হওয়া কিছু জনপ্রিয় ডায়াক নাম্বার হচ্ছে DB3, DB4, DB3A, DB6 । আমরা চিত্রে একটি ডায়াক দেখতে পাচ্ছি । এখানে ডায়াকের সিম্বল সহ দেয়া আছে । বাস্তবে এই ডায়াক ৩মি.মি হয়ে থাকে । নিচের চিত্রে আমরা যে ডায়াক দেখতে পাচ্ছি সেটার নাম্বার হচ্ছে DB3/DB697 ।
ডায়াকের ব্যবহার
- ইউনিভার্সাল মোটরের গতি নিয়ন্ত্রণের কাজে ডায়াক ব্যবহার করা হয় ।
- তাপ নিয়ন্ত্রণের কাজে ডায়াক ব্যবহার করা হয় ।
- ডায়াক, ট্রায়াকের গেটকে সুইচিং এর কাজে ব্যবহার করা হয় ।
ট্রায়াক কাকে বলে ?
এক কথায় ট্রায়াক হচ্ছে তিন টার্মিনাল বিশিষ্ট একটা সুইচিং সেমিকন্ডাক্টর টাইপ ইলেকট্রনিক ডিভাইস । এই ট্রায়াকের গেটে (Gate) নেগেটিভ অথবা পজেটিভ পালস বা ভোল্ট দ্বারা ট্রিগার করলে একটিভ হয় বা পরিবাহী হিসেবে কাজ করে ।
ট্রায়াকের চিত্র এবং সিম্বল
নিচের চিত্রে খেয়াল করলে আমরা ট্রায়াকের ছবি এবং এর সিম্বল দেখতে পারবো । সংজ্ঞা থেকে আমরা জেনেছি ট্রায়াকের তিনটি টার্মিনাল থাকে । টার্মিনালগুলো হচ্ছে,
- গেট (Gate) ।
- মেইন টার্মিনাল ১ (MT1) ।
- মেইন টার্মিনাল ২ (MT2) ।
এই তিনটি টার্মিনাল নিয়ে ট্রায়াক গঠিত । এখানে গেট(Gate) ব্যবহার করা হয় ট্রাগারিং করতে আর মেইন টার্মিনাল ১(MT1) এবং মেইন টার্মিনাল ২(MT2) ব্যবহার করা হয় পজেটিভ এবং নেগেটিভ সংযোগ দিতে ।
ট্রায়াকের ব্যবহার
ট্রায়াক ইলেক্ট্রনিক্স এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এর অনেক কাজে ব্যবহার করা হয় । নিচে সেগুলোর কিছু তুলে ধরা হলোঃ
- মোটর এবং বৈদ্যুতিক ফ্যানের গতি নিয়ন্ত্রনের কাজে ব্যবহার করা হয় ।
- ইলেক্ট্রিক হিটারের হিট কন্ট্রোলার হিসেবে ।
- লাইট ডিমার হিসেবে ।
- আর্ক ওয়েল্ডিং এ কারেন্ট নিয়ন্ত্রনের জন্য এর ব্যবহার করা হয় ।
- টাইম-ডিলে রিলে সার্কিটে ।
- ট্রান্সফরমারের ট্যাপ-চেঞ্জিং এর কাজে ।
- হাই পাওয়ার ল্যাম্প এর সুইচ হিসাবে ট্রায়াক ব্যবহার করা হয় ।
এগুলো ছারাও আরো অনেক কাজে ট্রায়াক ব্যবহার করা যায় । যেখানেই ভারিয়েবল ভোল্টেজ দরকার হয় সেখানেই ট্রায়াক ব্যবহার করে সেটা করা যেতে পারে ।
বন্ধুরা আশা করছি আপনারা সকলেই ডায়াক এবং ট্রায়াক সম্পরকে বুঝতে পেরেছেন । আমরা চেষ্টা করেছি ডায়াক এবং ট্রায়াক নিয়ে আপনাদের প্রাথমিক ধারনাগুলো দেবার । যদি ডায়াক এবং ট্রায়াক নিয়ে আপনাদের আরো প্রশ্ন থাকে তাহলে EEEcareer এর কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন । আমরা চেস্টা করবো আপনাদের চাহিদা মত লিখা উপহার দেওয়ার ।
সারকিট দিয়েছেন কিন্তু বর্ণনা দেন নি। দয়া করে বর্ণনা দিবেন কি?
ভাইয়া, সার্কিট এটা শুধু ধারনার জন্য দেয়া হয়েছে যাতে বোঝা যায় কিভাবে এগুলোর সংযোগ দেয়া থাকে । আপনি আমাদের পেজে প্রশ্ন করতে পারেন তাহলেই উত্তর পেয়ে যাবেন । ভালো থাকুন ।