রেজিস্টর এর মান নির্ধারণ করার সহজ উপায়
আপনাদের সকলের চাওয়া অনুযায়ী আজ আমরা রেজিস্টর এর মান নির্ধারণ করার সহজ পদ্ধতি বর্ণনা করতে চলেছি । আমাদের আগের রেজিস্টর নিয়ে লিখাটা আপনাদের সকলের জানার প্রেক্ষিতে আজ আমরা কি করে রেজিস্টরের মান বের করতে পারবো সেটা আলোচনা করবো ।
রেজিস্টর এর মান নির্ধারণের যেসকল পদ্ধতি জানবো আমরা গুলো হলোঃ
১। কালার কোড মোনে রাখার উপায় ।
৪। এনালগ মাল্টিমিটার / ওহমমিটার / ডিজিটাল মাল্টিমিটার এর সাহায্যে মান নির্ণয় পদ্ধতি ।
কালার কোড মোনে রাখার উপায়
রেজিস্টরে সাধারণত বার (১২) ধরনের কালার ব্যবহার করা হয়ে থাকে । এগুলা হচ্ছে কালো, বাদামী, লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, বেগুনি, ধূষর, সাদা এগুলা ছারাও টলারেন্স দেখানর জন্য দুই প্রকার কালার ব্যবহার করা হয় সেগুলো হল, রুপালী এবং সোনালী ।
আমরা যদি বাংলায় সংক্ষেপে এই রং গুলী মনে রাখতে চাই তাহলে এই লাইনটা মনে রাখতে হবেঃ কা, বা, লা, ক, হ, স, নী, বে, ধূ, সা । এর মানে হচ্ছে প্রত্যেকটা কালারের প্রথম অক্ষরটা আমাদের মনে রাখতে হবে ।
রেজিস্টর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
আবার ইংরেজিতে সহজে মনে রাখার জন্য এই লাইনটা মোনে রাখতে হবেঃ BB ROY Good Boy Very Good Worker
এখানে, BB হচ্ছে B= Black (কালো) আরেক B= Brown (বাদামী)
ROY হচ্ছে R= Red (লাল) O=Orange (কমলা) Y=Yellow (হলুদ)
Good হচ্ছে G= Green (সবুজ)
Boy হচ্ছে B= Blue (নীল)
Very হচ্ছে V= Violet (বেগুনি)
Good হচ্ছে G= Gray (ধূষর)
Worker হচ্ছে W= White (সাদা)
এই দুইটা লাইন মনে রাখলেই আমরা খুব সহজে রেজিস্টরের মান নির্ধারণ করতে পারবো ।
কালার কোডিং পদ্ধতি
কালার কোডিং পদ্ধতিতে রেজিস্টরের গায়ে যে সকল কালার করা থাকে তার উপরে নির্ভর করে মান বের করতে হয় । আমরা উপরের কালার কোডের চার্ট হতে বুঝতে পারছি যে প্রত্যেকটা কালারের জন্য এক একটা মান দেয়া আছে । আমাদের অই মানের উপরে নির্ভর করেই কালকুলেশন করে রেজিস্টরের মান বের করতে হবে । এই মান নির্ধারণ পদ্ধতি আবার ব্যান্ড এর উপরে নির্ভর করে । কারন অনেক সময় চার ব্যান্ড আবার অনেক সময় পাঁচ ব্যান্ড এর রেজিস্টরের মান বের করতে হয় । ব্যান্ড যাই হোকনা কেন আমরা পদ্ধতি জানলে এটা বের করা খুবই সোজা ।
আমরা আপনাদের এখানে চার ব্যান্ড এবং পাঁচ ব্যান্ড এর রেজিস্টরের মান বের করার পদ্ধতি তুলে ধরছি ।
চার ব্যান্ডের জন্য আমাদের চিত্রে যে রেজিস্টর দেয়া আছে সেখানে আমরা দেখছি প্রথম কালার হলুদ(৪), ২নং কালার হচ্ছে বেগুনি(৭), ৩নং কালার লাল(২) আর শেষের কালার হচ্ছে রুপালী (±১০%) । এখানে আমাদের টলারেন্স বাদে প্রথম দুইটা কালার হলুদ এবং বেগুনি এই দুই কালারের জন্য ৪ এবং ৭ বসাতে হবে পাশাপাশি মানে হচ্ছে আমাদের ৪৭ । তার পরের কালার হচ্ছে গুনক যেটা আমাদের চার্ট দেখলেই বুঝতে পারবেন । তাই লাল কালারের জন্য গুনক হচ্ছে ১০২ । এই তিন কালার থেকে আমরা পেলাম ৪৭x১০২ = ৪৭০০ । এবার আমাদের টলারেন্স ধরতে হবে, এখানে টলারেন্স যোগ অথবা বিয়োগ হতে পারে । তাই +১০% ধরলে আমাদের রেজিস্টরের মান হচ্ছে ৪৭০০+(১০/১০০)= ৫১৭০ ওহম । আবার -১০% ধরলে আমাদের রেজিস্টরের সর্বনিম্ন মান হবে ৪৭০০ -(১০/১০০)= ৪২৩০ ওহম । আমাদের এই রেজিস্টরের মান ৪২৩০ ওহম থেকে ৫১৭০ ওহমের মধ্যেয় হবে ।
পাঁচ ব্যান্ডের জন্য আমাদের চিত্রে যে রেজিস্টর দেয়া আছে সেখানে আমরা দেখছি প্রথম কালার নীল(৬), ২নং কালার হচ্ছে ধুসর(৮), ৩নং কালার কালো(০), ৪ নং কালার লাল(২) আর শেষের কালার হচ্ছে সোনালী (±৫%) । এখানে আমাদের টলারেন্স বাদে প্রথম তিনটা কালার নীল, ধুসর এবং কালো, এই তিন কালারের জন্য ৬, ৮ এবং ০ বসাতে হবে পাশাপাশি মানে হচ্ছে আমাদের ৬৮০ । তার পরের কালার হচ্ছে গুনক তাই লাল কালারের জন্য গুনক হচ্ছে ১০২ । এই চার কালার থেকে আমরা পেলাম ৬৮০x১০২ = ৬৮০০০। এবার আমাদের টলারেন্স +৫% ধরলে রেজিস্টরের মান হচ্ছে ৬৮০০০+(৫/১০০)= ৭৪৮০০ ওহম । আবার -৫% ধরলে আমাদের রেজিস্টরের সর্বনিম্ন মান হবে ৬৮০০০-(৫/১০০)= ৬১২০০ ওহম । আমাদের এই রেজিস্টরের মান ৬১২০০ ওহম থেকে ৭৪৮০০ ওহমের মধ্যেয় হবে । অর্থাৎ টলারেন্স এর আগের ব্যান্ড হচ্ছে গুণক আর গুণকের আগের ব্যান্ডগুলো আমাদের মান অনুযায়ী পাশাপাশি বশাতে হবে ।
রেজিস্টর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
ডেসিম্যাল নাম্বার পদ্ধতি
ডেসিম্যাল নাম্বার পদ্ধতি সাধারণত তখন ব্যাবহার করা হয় যখন বড় মাপের ওয়্যারউন্ড রেজিস্টর ব্যবহার করা হয় । আমাদের চিত্রে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন একটা ওয়্যারউন্ড রেজিস্টর ব্যবহার দেয়া হয়েছে ।
এখানে রেজিস্টরের গায়ের উপরে লিখা 5WR25J । এই লিখার মানে হচ্ছে এই রেজিস্টর 5W এবং এটা R25 এর রেজিস্টর । আর সব শেষে J অক্ষর আছে এটা হচ্ছে টলারেন্স । এই টলারেন্সগুলো সহজে মোনে রাখার জন্য আমরা আপনাদের আরেকটা চিত্র তুলে ধরলাম ।
এনালগ মাল্টিমিটার / ওহমমিটার / ডিজিটাল মাল্টিমিটার এর সাহায্যে মান নির্ণয় পদ্ধতি
এনালগ মাল্টিমিটার
এনালগ মাল্টিমিটার হচ্ছে আমাদের সবথেকে পুরনো আমলের মাল্টিমিটার । এটার মাধ্যমে আমরা রেজিস্টরের মান বের করতে পারি । আমাদের প্রথমে মাল্টিমিটারের কাঁটা জেরো(০) অবস্থানে আনতে হবে । তারপরে যে রেজিস্টর পরিমাপ করতে হবে সেটার দুই প্রান্তে মিটারের দুই কর্ড লাগাতে হবে । মিটারের কর্ড লাগানর পরে আমরা দেখতে পাব মাল্টিমিটারের কাঁটা জেরো অবস্থান হতে উপরের দিকে গেছে । এবং আমাদের রেজিস্টরের মান নির্দেশ করছে ।
ডিজিটাল মাল্টিমিটার
ডিজিটাল মাল্টিমিটারের সাহায্যে খুব সহজে এবং একদম একুরেট মান পাওয়া যায় রেজিস্টরের । একদম দশমিক পর্যন্ত মান দেখা যায় ডিজিটাল মাল্টিমিটা্রে । আমাদের শুরুতেয় মিটারকে ওহমে নিতে হবে, তারপরে মিটারের দুই কর্ড রেজিস্টরের দুই প্রান্তে লাগাতে হবে । লাগানর পরে আমরা সাথে সাথেয় রেজিস্টরের একুরেট মান পেয়ে যাব ।
টলারেন্স ব্যান্ড মানে কি ?
রেজিস্টরের কালার কোডের শেষের ব্যান্ডে থাকে টলারেন্স । এটি রেজিস্টরের যে মান থাকে সেটার ভারসাম্য রক্ষ্যার জন্য ব্যবহার করা হয় । আমরা জানি কোন কিছুই কখনো একদম একুরেট হতে পারেনা তেমনি রেজিস্টরের মান কিছুটা কম বেশি হতে পারে । রেজিস্টরের এই কম বেশি হওয়া মানের জন্য টলারেন্স ব্যবহার করা হয় ।
রেজিস্টর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
বন্ধুরা রেজিস্টর এর মান নির্ধারণ করার পদ্ধতি নিয়ে এটাই ছিলো আমাদের আজকের আয়োজন । আশা করছি আপনাদের সকলের কাজে লাগবে আমাদের তথ্যগুলো । আপনাদের আরো প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন , EEEcareer সর্বদা আপনাদের সহযোগিতায় নিয়জিত । সবাই সুস্থ এবং নিরাপদ থাকুন ।
Sir plz amake resisterer man abong resistarer wark total ta jodi janar jonno sohojogita korten?